এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ (৪.৪)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK
1.1k
1.1k

৪.৪ এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ 

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহ চিহ্নিত করতে পারব ও উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিসারন চক্রে বায়ুপ্রবাহ, বৈদ্যুতিক বর্তনী এবং স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র ও বৈদ্যুতিক বর্তনী সম্পর্কে জানব ।

 

common.content_added_by

এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ চিহ্নিত করতে পারৰে (৪.৪.১)

309
309

৪.৪.১ এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ চিহ্নিত করতে পারৰে

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানভেদে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটের কিছু কিছু যন্ত্রাংশ সমূহের অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। চিত্রের মাধ্যমে এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ দেখানো হয়েছে। নিম্মে চিত্রের মাধ্যমে একটি এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে এই সকল যন্ত্রাংশের অবস্থান দেখানো হল-

নিজ বাসা অথবা বিদ্যালয়ের, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি দেখে এয়ার কন্ডিশনারের বিভিন্ন অংশ শনাক্ত ও উহার অবস্থান চিহ্নিত করে নিম্নে প্রদত্ত এ্যাক্টিভিটি ফর্মটিতে লিপিবদ্ধ করো ।

 

 

common.content_added_by

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন প্রবাহ (৪.৪.২)

322
322

৪.৪.২ উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন প্রবাহ

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র বা রেফ্রিজারেশন সাইকেল

১। কম্প্রেসর (Compressor) 

২। কন্ডেসার (Condenser)

৩। স্টেইনার/কিপ্টার ড্রায়ার (Stainer)

৪। ক্যাপিলারি টিউব ( Capillary tube)

৫। ইভাপোরেটর (Evaporator) 

৬। রোয়ার ফ্যান (Blower fan) 

৭। সাকশন গ্রীল (Suction grill) 

৮। রিটার্ন গ্রীল (Retum grill) 

৯। প্যানেল বোর্ড (Parnel board) 

১০। ফেসিং (Casing) সমন্বয়ে গঠিত।

                      চিত্র ৪.৫: উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র

হিমায়ন চক্রে কম্প্রেসর হৃদপিণ্ডের ন্যায় কাজ করে। হিমায়ন চক্রে প্রধান অংশগুলো হল ৪টি (১) কম্প্রেসর (২) কন্ডেন্সার (৩) এক্সপানশন ডিভাইস বা ক্যাপিলারি টিউব এবং (৪) ইভাপোরেটর বা কুলিং করেন।

 

 

common.content_added_by

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের বায়ু প্রবাহ (৪.৪.৩)

301
301

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের বায়ু প্রবাহ

উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারে ইন সাইড ও আউট সাইড এই দু'ভাবে বায়ু প্রবাহ করে থাকে। আউট সাইডে কন্ডেন্সার হতে পরম বাতাস (Hot Air) বাহিরে ফ্যানের মাধ্যমে নির্গত হয়। ইন সাইড বা ভিতরের দিকে রোয়ারের মাধ্যমে ঠান্ডা/শীতল বাতাস (ColdAir) নির্গত হয়। চিরে উইন্ডো টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের এয়ার সাইকেল দেখানো হল-

 

 

common.content_added_by

উইন্ডো টাইপ এসির বৈদ্যুতিক বর্তনী (8.8.8)

281
281

8.8.8 উইন্ডো টাইপ এসির বৈদ্যুতিক বর্তনী

 

 

common.content_added_by

স্প্লিট টাইল এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্র (৪.৪.৫)

260
260

৪.৪.৫ স্প্লিট টাইল এয়ার কন্ডিশনারের হিমার চক্র

স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের হিমায়ন চক্রের প্রধান অংশসমূহ হল- 

(১) কম্প্রেসর (২) কন্ডেন্সার (৩) এক্সপানশন ডিভাইস/ক্যাপিলারি টিউব ও (৪) ইভাপোরেটর ইত্যাদি।

কম্প্রেসর চালু হলে সাকলন লাইনের মাধ্যমে নিম্ন চাপে ও তাপের বাষ্পীয় হিমায়ক ডিসচার্জ লাইনের মাধ্যমে উচ্চ চাপে ও ভাগের বাষ্পীয় হিমায়ক কন্ডেসারে তাপ বর্জন করে তরল আকার ধারণ করে ক্যাপিলারি টিউ/এক্সপানশন ডিভাইসের মাধ্যমে কুলিং কয়েল/ইভাপোরেটরে (CC) বাষ্পীভূত হয়ে শীতল/ ঠাণ্ডা অবস্থায় পরিণত হয়। রোরার মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস রুমে সরবরাহ করে।

 

 

common.content_added_by

স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের বৈদ্যুতিক সার্কিট (৪.৪.৬)

450
450

৪.৪.৫ স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের বৈদ্যুতিক সার্কিট

স্প্লিট টাইপ এয়ার কন্ডিশনারের সার্কিট বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং রিমোট কন্ট্রোলিং সিস্টেম পরিচালনা করা হয়। নিম্নোক্ত ডিভাইস দিয়ে উক্ত সার্কিটটি গঠিত- 

১. সার্কিট ব্রেকার 

২. ইলেকট্রিক সার্কিট 

৩. ফ্রিজিং সেন্সর 

৪. টেম্পারেচার সেন্সর 

৫. ডিসপ্লে, 

৬. ট্রান্সফর্মার 

৭. রেক্টিফায়ার 

৮. ক্যাপাসিটর 

৯. ম্যাগনেটিক কন্ট্রাক্টর ইত্যাদি।

কার্যপ্রণালী 

সার্কিট ব্রেকার অন করার পর ফেজ এবং নিউট্রাল ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরে যায় কিন্তু কন্ট্রাকটরে কয়েল এনারজাইস্ট না থাকায় সংযোগ কম্প্রেসর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে বা লাইন কন্টাক্টর অতিক্রম করতে পারে না । অপরদিকে চিত্রের ন্যায় সার্কিট ব্রেকার এর পর থেকে নিউট্রাল এবং ফেজ লাইন দু'টি ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল প্যানেলে যায়। সেখান থেকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে ভোল্টেজ ২৪ ভোল্ট হয়ে রেক্টিফায়ারে যায় রেক্টিফায়ার এসি থেকে ডিসিতে পরিণত হয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো চালাতে থাকে। ইনডোর ইউনিট এর সুইং মোটর এবং ব্লোয়ার মোটরের এক প্রান্তে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের নিউট্রাল সংযোগ করা হয়।

সরবরাহ লাইন থেকে ফেজ বাসবারে ইলেকট্রিক ডিভাইস তথা সেন্সরের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত অর্থাৎ অন- অফ হয়ে সুইং মোটরের অপর প্রান্তে এবং ব্লোয়ারফ্যান মোটরের হাই, লো, মিডিয়াম পয়েন্টে সংযোগ দিয়ে ইনডোর ইউনিট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ।

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসটি যখন ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের কয়েলে সংযোগ দেয় তখন কয়েল এনার্জাইস্ট হয়ে সংযোগ দেয়। ফলে কম্প্রেসরের কমন এবং কন্ডেনসার ফ্যান মোটরের কমন পয়েন্টে ওভার লোড প্রটেক্টর হয়ে সরবরাহ পায় এবং নিউট্রাল লাইনটি রীলের কম্প্রেসরের মাধ্যমে ফ্যান মোটরের রান এবং স্টার্টিং পয়েন্টে সরবরাহ দেয়া হয়- ফলে কম্প্রেসর এবং ফ্যান মোটর চলতে থাকে।

যদি কম্প্রেসরের কয়েল দুর্বল হয়ে যায় তবে পটেনশিয়াল রীলে দিয়ে স্টার্ট ক্যাপাসিটর সংযোগ করতে হবে। ইলেকট্রনিক সিস্টেমে সেন্সর গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে ম্যাগনেটিক কন্টাক্টরের মাধ্যমে কম্প্রেসরকে অন-অফ করে চাহিদামত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

 

 

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion